MILITARYTECHNOLOGY
Trending

পারমানবিক অস্ত্রবাহী K-329 সাবমেরিন মোতায়েন করলো রাশিয়া।

সুনামি তুলতে সক্ষম এমন অস্ত্রবাহী সাবমেরিন নিয়ে ঘুরছে রাশিয়ান বাহিনী। এ বিষয়ে নিজ জোটভুক্ত দেশগুলোকে সতর্কবার্তা জারি করলো ন্যাটো।

Story Highlights
  • Knowledge is power
  • The Future Of Possible
  • Hibs and Ross County fans on final
  • Tip of the day: That man again
  • Hibs and Ross County fans on final
  • Spieth in danger of missing cut

পারমানবিক অস্ত্রবাহী K-329 সাবমেরিন মোতায়েন করলো রাশিয়া। সুনামি তুলতে সক্ষম এমন অস্ত্রবাহী সাবমেরিন নিয়ে ঘুরছে রাশিয়ান বাহিনী। এ বিষয়ে নিজ জোটভুক্ত দেশগুলোকে সতর্কবার্তা জারি করলো ন্যাটো।

রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন বেলগরদ বেশকিছুদিন ধরে পসিডন টর্পেডো নিয়ে নিজস্ব ঘাঁটি ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েছে মাঝ সাগরে। এবং তা নিশ্চিত করে সদস্য দেশগুলোকে এক গোপনীয় সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে ন্যাটো। বেলগরদ সাবমেরিন ছয় থেকে দশটি পসিডন বহন করছে বলে জানিয়েছে ন্যাটো, একেকটি টর্পেডোর তেজষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে প্রলয়কারী সুনামির তৈরি করে নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহর ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এই সাবমেরিন। যা প্রকাশ করেছে ইতালির দৈনিক লা রিপাবলিকা।

১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করে তা সৈকতের কাছে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।!

রাশিয়ার বেলগরদ K-329 সাবমেরিন নিজস্ব ঘাঁটি ছেড়ে সমুদ্রের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ছে বলে নিজসদস্য দেশগুলোকে সতর্কবার্তা প্রেরণ করেছে ন্যাটো। খবরে বলা হয়, প্রথমবারের মতো ন্যাটো সদর দপ্তর তাদের নিজ জোটের সদস্য দেশগুলোর জন্য গোপনীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। ন্যাটোর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে যে, রাশিয়ার K-329 বেলগরদ সাবমেরিন নিজ ঘাঁটি ছেড়ে উত্তর মেরু অঞ্চলে সাগরের তলদেশে অবস্থান নিয়েছে এবং খুব সম্ভবত পসিডন সুপার টর্পেডো পরীক্ষা করার জন্য সাবমেরিনটিকে সক্রিয় করেছে রাশিয়া। সদস্য দেশগুলোর কাছে পাঠানো গোপনীয় বার্তায় ন্যাটো আরো বলেছে, পসিডন মিসাইল সাগরের তলদেশ দিয়ে ছুটে ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এবং মিসাইল নিক্ষেপের পর তা সৈকতের কাছে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।

russian-submerine-k-329
russian-submerine-k-329

পসিডন মিসাইল যে পরিমাণ বিচ্ছুরণ ঘটানোর সক্ষমতা রাখে, তাতে করে উপকূলে সৃষ্ট হওয়া তেজষ্ক্রিয় সুনামি পৃথিবীর যে কোনো উপকূলীয় শহরকে পানিতে তলিয়ে দিতে পারে। এ বিষয়ে আরো জানানো হয় যে, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সাধনের সামর্থ্য রাখলেও এ মূহূর্তে হয়ত পারমাণবিক ওয়ারহেড ছাড়াই পসিডন ছোঁড়া হতে পারে। রাশিয়ান বাহিনী পসিডন ছুঁড়ছে কিনা তা নজরদারি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সক্রিয় করে এ বিষয়ে বিশেষ নজরদারি করছে। পসিডন মিসাইল ছোঁড়ার ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যে অস্বাভাবিক রকমের তাপমাত্রা সৃষ্টি হবে, স্যাটেলাইট থেকে তা খুব সহজেই শনাক্ত করা যাবে। কিন্তু তার আগে পানির নিচ দিয়ে এসব মিসাইল কোনদিকে যাবে সেটা বোঝা যাবে নাহ।

Related Articles

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button