বর্তমান বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম একটি পরিচিত নাম ফেসবুক। ছোট – বড়, গরিব – ধনী সবারই কম বেশি স্মার্ট রয়েছে এবং সেখানে সে ইন্সটল করে নিচ্ছে ফেসবুক। কিন্তু এই ফেসবুক কম্পানি তার আয়ের সবচেয়ে বেশি টাকা যেই দিকটায় ইনভেস্ট করছে তা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI Technology) আর এই প্রযুক্তির সাথে তাদের কাছে আমাদের সকল তথ্য।
আমরা যখন ফেসবুকে ঘুরা ফিরা করি তখন প্রায়ই আমরা বিভিন্ন পোস্টে ছবি, ভিডিও অথবা লিখালিখি দেখতে পাই। আমাদের যখন কোনো একটা জিনিস ভালো লাগে তখন আমরা আমাদের স্ক্রলবার টা থামিয়ে ওইটা দেখি/ পড়ি। কিছুক্ষন দেখার পর যদি সেটা ভালো না লাগে তাহলে আবার স্ক্রোল করতে থাকি। কিন্তু আপিনি যদি পছন্দ করেন ডনাল্ড ট্রাম্প কে তাহলে কিন্তু আপনি তার ভিডিও অথবা পোস্ট দেখতে থাকবেন। এবং আপনি কতক্ষন এই পোস্ট দেখছেন তার তথ্য জমা হতে থাকে ফেসবুকের কাছে থাকা আপনার নামে তৈরি ডেটাবেজে। ফেসবুক কম্পানির সেই ডেটাবেজ যুক্ত থাকে তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রোগ্রাম এর কাছে এবং সেই প্রোগ্রাম বুঝতে পারে যে আপনি কি পছন্দ করেন আর কি করেন নাহ। আর আপনি যেই জিনিসের উপর বেশি সময় দেন সেই জিনিসটাই আপনার পছন্দ।
ওই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন প্রোগ্রামটা ওই ধরনের সকল পোস্ট আপনার কাছে পাঠাতে থাকে। এতে করে আপনার ভিতর একটা আত্নতৃপ্তির সৃষ্টি হয়। এবং এই ফেসবুক এপ্লিকেশন এর প্রতি ভিতরে ভিতরে (subconscious mind এ) আপনার একটা আসক্তি জন্মায়, যা আপনি বুঝতেও পারেন নাহ। একটা সময় আপনি নিজে নিনে কোনো কারণ ছাড়াই ফেসবুকে ঢুকে পড়েন এবং স্ক্রোল করে কিছুটা সময় কাটিয়ে বের হয়ে যান।
আপনি জানেন এই মুহুর্তে আপনার কোনো কাজ নেই সেখানে। তাও আপনার অভ্যন্তরীণ মন আপনাকে আত্নতৃপ্তি পাওয়ানোর উদ্দেশ্যে আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবেই। এভাবেই ফেসবুক আপনাকে কন্ট্রোল করছে তাকে ব্যবহার করার জন্য এবং একটা সময় সে তার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এটাও কন্ট্রোল করতে পারবে যে আপনি কি করতে যাচ্ছেন আর আপনি কি করবেন নাহ। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো পরবর্তী পোস্টে।
inotic-1
News Tech24 – Technology News Online
ধন্যবাদ।
Hi, this is a comment.
To get started with moderating, editing, and deleting comments, please visit the Comments screen in the dashboard.